জাকির ট্রাভেল এজেন্সি লিমিটেড
নগর সিদ্দিক প্লাজা (২য় তলা), ৩/৭ জনসন রোড, ঢাকা-১১০০, বাংলাদেশ, ফোন: ০১৯৮২-৯৪৫৯০৪
আসসালামু আলাইকুম
বাইতুল্লাহর সম্মানিত মেহমানবৃন্দ!
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হাজ্জ ও ‘উমরাহকে পূর্ণ কর – – لِلّٰهِؕ وَالۡعُمۡرَةَ الۡحَجَّ وَاَتِمُّوا – (সূরা: বাকারাহ; আয়াত ১৯৬)
হজ-ওমরাহ করলে সম্পদ কমার বদলে বরং বেড়ে যায়। হজ করলে সম্পদ কমে যাবে বা দরিদ্র্য আসবে এটা শয়তানের ধোঁকা বা ওয়াসওয়সা।
১) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
অর্থ: ‘ধারাবাহিকভাবে হজ ও ওমরার করতে থাক। কারণ এ ২টি দারিদ্র্য ও গুনাহ এমনভাবে দূর করে, যে ভাবে কর্মকারের হাওয়া দেয়ার যন্ত্র লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে। মাবরুর হজের (সব রকম গুনাহ ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র) সাওয়াব জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়। (সুনানে নাসাঈ: ২৬৩১, সুনানে তিরমিজি: ৮১০)
২) জাবের (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
قَطُّ حَاجٌّ أَمْعَرَ مَا
অর্থ: ‘হজ আদায়কারী ব্যক্তি কখনও নিঃস্ব হয় না’।
শ্রোতারা জাবেরের (রা.) কাছে নিঃস্ব হওয়ার মানে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থাৎ হজ আদায়কারীরা অভাব-অনটনে পড়ে না। (মুসনাদে বাযযার: ১০৮০, তাবরানি ফিল আওসাত: ৫২০৯)
হজের জন্য খরচের বদলায় সওয়াব লাভের প্রতিশ্রুতিও এসেছে বিভিন্ন হাদিসে।
৩) আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
অর্থ: ‘হজ হলো আল্লাহর রাস্তা। হজে এক দিরহাম খরচের সওয়াব সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়’। (তাবরানি ফিল আওসাত: ৫৬৯০)
৪) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,এক উমরাহ অন্য উমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সবকিছুর কাফফারা। আর মাবরুর হজের একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত। ( বুখারী ও মুসলিম )
ইয়া আল্লাহ! সব মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাকির ট্রাভেল এজেন্সি লিমিটেড
নগর সিদ্দিক প্লাজা (২য় তলা), ৩/৭ জনসন রোড, ঢাকা-১১০০, বাংলাদেশ, ফোন: ০১৯৮২-৯৪৫৯০৪
ইবাদত আপনার সেবা আমাদের।
উমরাহ্ পালনের নিয়মাবলীকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় –
• এক: ইহরাম (ফরজ)
• দুই: তাওয়াফ (ফরজ)
• তিন: তাওয়াফের দুই রাকাত নামাজ (ওয়াজিব)
• চার: সায়ী (ওয়াজিব)
• পাচ: মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা (ওয়াজিব)
• তালবিয়াঃ
উমরাহ্র নিয়ত করার পরেই বেশি বেশি তালবিয়া পাঠ করবেন। তালবিয়া দলগত ভাবে পাঠ না করে একক ভাবে পাঠ করতে হয়। পুরুষরা একটু উঁচু আওয়াজে তালবিয়া পাঠ করবেন যেন একে অপরে শোনা যায়, কিন্তু মহিলারা মনে মনে পাঠ করবেন।
لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ: লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈকা লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি-আ মাতা লাকা ওয়াল-মুলক, লা শারীকা লাক।
অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ ! আমি হাজির, আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই, নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার, আপনার কোন অংশীদার নেই।
দুই: তাওয়াফ
• যেভাবে তাওয়াফ করা শুরু করবেনঃ
পবিত্র মক্কায় পৌঁছার পর তাওয়াফ শুরু করার আগে সম্ভব হলে আপনার হোটেল কিংবা বাসা থেকে গোসল করে নিবেন, এটি একটি মুস্তাহাব কাজ। ডান পা দিয়ে মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করবেন এবং মসজিদে ঢোকার দু’আ পড়বেন –
بِسْمِ اللهِ وَ الصّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ أعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْم وَ بِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ اَللهُمَّ افْتَحْ لِىْ اَبْوَابَ رَحَمَتِكَ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ। আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বি-ওয়াজহিহিল কারিম ওয়া সুলতানিহিল কাদিমি মিনাশশায়ত্বানির রাজিম। আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা।
অর্থ- আল্লাহর নামে শুরু করছি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিন। আমার জন্য আপনার রহমতের দুয়ারগুলো খুলে দিন।
• এরপর মাতাফে পৌঁছালে (কাবাঘরের চারদিকের খোলা তাওয়াফের স্থান) তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করবেন। এবার কাবা ঘরের যে কর্নারে হাজরে আসওয়াদ আছে সে কর্নারে গিয়ে পুরুষরা ডান কাঁধ খোলা রেখে শরীরের উপরের অংশের ইহরামের কাপড়টি পরবেন (যেটিকে ইজতিবা বলা হয়) এবং পুরুষ ও মহিলা উভয়ই ডান হাত হাজরে আসওয়াদ বরাবর ইশারা করে কাবাকে বাম দিকে রেখে তাওয়াফ করা শুরু করবেন। তাওয়াফের সাতটি চক্করের শুরুতেই এভাবে হাজরে আসওয়াদ বরাবর গিয়ে ডান হাত তুলে ইশারা করবেন (ইশারা করে হাতে চুমু খাওয়া যাবেনা) এবং ইশারা করার সময় বলবেন –
بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর
• অথবা
اَللهُ اَكْبَر
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবর
• যদিও হাজরে আসওয়াদ চুমু খেয়ে বা ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করে তাওয়াফ শুরু করা সুন্নত কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সাধারনভাবে এখন এটা আর সম্ভব হয়না, যদি সম্ভব হয় তবে চুমু খেয়েই তাওয়াফ শুরু করবেন কিন্তু ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে অন্যকে কষ্ট দিয়ে করা যাবেনা।
একটি তাওয়াফে মোট সাতটি চক্কর দিতে হয় এবং প্রতিটি চক্কর হাজরে আসওয়াদ বরাবর কর্নার থেকে শুরু হয়ে আবার হাজরে আসওয়াদ বরাবর কর্নারে এসে শেষ হয়।
পুরুষরা প্রথম তিন চক্কর ছোট ছোট পদক্ষেপে দৌড়ানোর ভান করে হাঁটবেন (যেটিকে রমল বলা হয়) এবং বাকি চারটি চক্কর স্বাভাবিক ভাবে হাঁটবেন, আর মহিলারা ৭টি চক্করই স্বাভাবিক ভাবে হাঁটবেন।
তাওয়াফের প্রতিটি চক্করে হাজরে আসওয়াদের আগের যে কর্নার রয়েছে যেটিকে রুকনে ইয়ামানি কর্নার বলা হয়, এই কর্নার হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন কারণ এই সময় এটি স্পর্শ করা সুন্নত, যদি হাত দিয়ে স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তবে তাওয়াফ করা চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন, রুকনে ইয়ামানিকে চুমু খাওয়া যাবেনা।
এভাবে তাওয়াফের সাতটি চক্কর শেষ করে পুরুষদের গায়ের ইহরামের কাপড়টি দিয়ে ডান কাঁধটি আবৃত করে ফেলবেন অর্থাৎ চাদরের মত করে পরবেন।
উল্লেখ্য যে, তাওয়াফের সপ্তম চক্করটি শেষ করার পর হাত দিয়ে ইশারা করা বা হাতে চুমু খাওয়া যাবে না এবং তাওয়াফ করার সময় কখনই হিজরে ইসমাইল বা হাতিম এর ভিতর দিয়ে তাওয়াফ করা যাবেনা, কারণ হিজরে ইসমাইল কাবার একটি অংশ আর কাবার ভিতর তাওয়াফ করা যায়না।
• তাওয়াফের দুয়াঃ
তাওয়াফের সময় যে কোন দু’আ করা যায় । তবে রুকনে ইয়ামানি কর্নার থেকে হাজরে আসওয়াদ কর্নার পর্যন্ত তাওয়াফ করার সময় একটি দু’আ আছে, এই দু’আটি করা সুন্নত। দু’আটি হল –
رَبَّنَا اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: রব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাতাও ওয়া ক্কিনা আ’যাবান্নার।
অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।
তিন: তাওয়াফের নামাজ
• তাওয়াফ শেষ করার পর তাওয়াফের দুই রাকাত নামাজ (ওয়াজিব) আদায় করতে হবে। এই নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ কোন সময় নেই, এটি যে কোন সময় আদায় করা যায়। কাবা ও মাকামে ইব্রাহিম কে সামনে রেখে এই নামাজ পড়া উত্তম। কিন্তু যদি ভিড়ের কারণে উক্ত নামাজের যায়গায় নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয় তবে মাসজিদুল হারামের যেকোনো যায়গায় আদায় করলে চলবে। খেয়াল রাখবেন, মহিলারা পরপুরুষদের সাথে দাঁড়িয়ে বা পুরুষরা পরমহিলাদের সাথে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া যাবেনা।
তাওয়াফের এই ওয়াজিব নামাজে সুরা ফাতিহার সাথে প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া উত্তম, যদি জানা না থাকে তবে সুরা ফাতিহার সাথে যে কোন সুরা পড়ে নামাজ আদায় করা যাবে।
তাওয়াফের নামাজ আদায় করার পর দাঁড়িয়ে বিসমিল্লাহ্ বলে জমজমের পানি পান করবেন, এই সময় জমজমের পানি পান করা সুন্নত এবং পান করা শেষে বরকতের জন্য একটু পানি হাতে নিয়ে মাথায়, মুখে এবং গায়ে মাখতে পারেন। মাতাফের পাশেই জমজমের পানি পানের ব্যবস্থা আছে।
চার: সায়ী
• সায়ী করার জন্য প্রথমে সাফা পাহাড়ে যেতে হয়, সাফা পাহাড়ে উঠার সময় একটি দু’আ আছে, দু’আটি হল –
•
إِنَّالصَّفَاوَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِاللهِ
উচ্চারণ: ইন্নাস সফা ওয়াল মারওয়াতা মিং শাআ’ইরিল্লাহ।
অর্থ: নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্র নিদর্শনসমুহের অন্তর্ভুক্ত।
• সাফা পাহাড়ে পৌঁছানোর পর কাবার দিকে মুখ করে মুনাজাতের ন্যায় দুই হাত তুলে নিচের দু’আটি পড়বেন, যে দু’আটি আমাদের নবী করিম (সাঃ) করেছিলেন, দু’আটি শুরু করার আগে তিনবার “আল্লাহু আকবর” বলবেন এবং এরপর বলবেন –
•
لَا اِلَهَ اِلَّااللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرُ،لَا اِلَهَ اِلَّااللهُ وَحْدَهُ اَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَامَ الْاَحْزَابَ وَحْدَهُ ـ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু আনজাযা ওয়া’দাহু ওয়া নাসর আবদাহু ওহাঝামাল আহঝাবা ওয়াহদাহু।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন ইলাহ নেই, তাঁর কোন শরীক নেই, সকল রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁর জন্য; তিনি সমস্ত বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মা’বূদ নেই। যিনি স্বীয় ওয়াদা পূরণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন, আর তিনি একাই সম্মিলিত বাহিনীকে পরাস্ত করেছেন।
• এই দু’আটি করার পর নিজের পছন্দমত দু’আ পড়বেন।
এভাবে আবারো দ্বিতীয় বারের জন্য আরবিতে আগের দু’আটি পড়বেন এবং এরপর নিজের পছন্দমত দু’আ করবেন। দ্বিতীয়বার দু’আটি শুরু করার আগে এখন আর “আল্লাহু আকবর” বলতে হবেনা।
• আবারো তৃতীয় বারের জন্য আরবিতে আগের দু’আটি পড়বেন এবং নিজের পছন্দমত দু’আ করবেন। এবারও দু’আটি শুরু করার আগে এখন আর “আল্লাহু আকবর” বলতে হবেনা।
উল্লেখ্য যে, এই দু’আটির কিছু অংশ পড়লেও দোষের কিছু নেই, তবে যেহেতু এটি দু’আ কবুলের জায়গা তাই এখানে নিজের মত বেশি বেশি দু’আ করবেন।
• দু’আ শেষ করে সায়ী করতে হবে অর্থাৎ সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাত চক্কর দিতে হবে।
সাফা পাহাড়ের দু’আ শেষ করে মারওয়া পাহাড়ের দিকে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটা শুরু করবেন, একটু হাঁটার পরেই দেখবেন কিছুটা জায়গা সবুজ লাইট দিয়ে চিহ্নিত করা আছে, এই সবুজ চিহ্নিত জায়গাটিতে পুরুষদের একটু দ্রুত দৌড়ানোর ভান করে হাঁটতে হবে কিন্তু মহিলারা স্বাভাবিকভাবেই হাঁটবেন। সবুজ চিহ্নিত জায়গাটি শেষ হলে আবারো স্বাভাবিক ভেবে হেঁটে মারওয়া পাহাড়ে যাবেন। এভাবে সায়ী’র প্রথম চক্কর শেষ হবে। সায়ি করার সময় নির্দিষ্ট কোন দু’আ নেই, এইসময় নিজের পছন্দমত যে কোন দু’আ করা যায়।
• মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছানোর পর কাবার দিকে মুখ করে মুনাজাতের ন্যায় দুই হাত তুলে সাফা পাহাড়ের ন্যায় তিনবার দু’আটি পড়বেন।
দু’আ করা শেষ হলে আবারো মারওয়া থেকে সাফা পাহাড়ের দিকে হাঁটা শুরু করবেন, আগের ন্যায় সবুজ চিহ্নিত জায়গাটিতে পুরুষরা একটু জোরে হাঁটবেন এবং সবুজ চিহ্নিত জায়গাটি শেষ হলে স্বাভাবিক ভেবে হেঁটে মারওয়া পাহাড়ে যাবেন। এভাবে সায়ী’র দ্বিতীয় চক্কর শেষ হবে।
• একইভাবে মোট সাতবার চক্কর দিতে হবে এবং মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে সায়ী’র সপ্তম চক্করটি শেষ হবে।
উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র সাফা পাহাড়ে প্রথমবার এবং মারওয়া পাহাড়ে প্রথমবার দাঁড়িয়ে দু’আ করতে হয়, কিন্তু শেষের পাঁচটি চক্করে সাফা বা মারওয়া পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দু’আ করতে হবেনা। তবে সায়ী করার সময় নিজের পছন্দ মত দু’আ করবেন।
পাঁচ: মাথা মুণ্ডন
• সায়ী পূর্ণ করে পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করবেন বা মাথার চারদিকের চুল সমান পরিমাণে ছেঁটে নিবেন, তবে মাথা মুণ্ডন করা বা কামানো উত্তম। মনে রাখবেন, চুল ছোট করার ক্ষেত্রে মাথার যে কোন স্থান থেকে একটু করে কাটলে চলবে না বরং মাথার চতুর্পাশ দিয়ে সমান পরিমান কাটতে হবে। মহিলারা সবগুলো চুল একত্র করে নিজে বা মাহারাম পুরুষ দিয়ে চুলের অগ্রভাগের এক ইঞ্চি পরিমান কেটে নিবেন।
এভাবে উমরাহ্ পূর্ণ হয়ে যাবে ইং-শা-আল্লাহ্ এবং ইহরাম কালের নিষিদ্ধ কাজগুলো এখন হালাল হয়ে যাবে।
উমরা সফরে পুরুষের প্রয়োজনীয় সামানা:
(১) এহরামের কাপড় ২ সেট, (২) দুই ফিতা স্যান্ডেল (৩) কোমর বেল্ট (৪) জুতার ব্যাগ (৫) প্লেট ও গ্লাস
উমরা সফরে মহিলাদের প্রয়োজনীয় সামানা:
(১) বোরখা ২ সেট, (২) সান ক্যাপ (৩) চুল কাটার ছোট ক্যাচি (৪) জুতার ব্যাগ (৫) প্লেট ও গ্লাস
ইহরাম অবস্থায় ১০ টি কাজ না করা উচিত:
(১) সুগন্ধি ব্যাবহার না করা
(২) মাথা ও মুখ আবৃত না করা
(৩) চুল/পশম না ছিঁড়া
(৪) নখ কাটা যাবে না
(৫) সহবাস করা যাবে না
(৬) প্রানী হত্যা করা যাবে না, সেটা মশা/পিঁপড়া/বৃক্ষ/ঘাস যাই হোক না কেন
(৭) ঝগড়া-বিবাদ করা যাবে না
(৮) অশ্লীল কথাবার্তা বলা যাবে না
(৯) উমরার ওয়াজিব সমূহ ছাড়া যাবে না
হারামের ১ টি কাজ না করা উচিত:
(১) প্রানী হত্যা করা যাবে না, সেটা মশা/পিঁপড়া/বৃক্ষ/ঘাস যাই হোক না কেন
উমরার সফরে দৈনিক আমলের রুটিন সমূহ:
(১) মক্কায় ১ লক্ষ ও মদীনায় ৫০ হাজার গুন নেকি ও ফজিলতের কারনে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পুরুষ জামাতের সাথে মাসজিদুল হারামে এবং মহিলারা আউয়াল ওয়াক্তে পড়ার চেষ্টা করা (হোটেল হারামের সীমানার ভিতরে হওয়ার কারনে মাস্তুরাতগন বেশী থাকা ও আমলের সাথে থাকার চেষ্টা করা) তবে হারামে ভিড় কম থাকলে মাহরাম পুরুষের সাথে নফল তওয়াফ ও নামাজ পড়তে যেতে পারে
(২) ফজরের নামাজের পর তাসবীহ ও দুরুদ পড়া । ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ, ১০০ বার লা-ইলাহা ইল্লাহ, ১০০ বার আল্লাহুআকবার ১০০ বার দুরুদ শরীফ,
(৩) সূর্য উঠার পর এশরাকের নামাজ এবং সূর্য গরম হওয়ার পর চাশতের নামাজ পড়া
(৪) দৈনিক কিছু সময় কোরআন তেলাওয়াত করা
(৫) দৈনিক অধা ঘন্টা ফাজায়েলে আমাল/সাদাকাত/হ্জ থেকে তালিম করা এবং তালিম শেষে ৬ সিফাতের মুজাকার করা
(৬) দৈনিক যে কোন সময় (হারাম সময় ব্যাতিত) কমপক্ষে ১ বার সালাতুত তাসবীহ পড়ার চেষ্টা করা
(৭) সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা
(৮) পুরা সফরে কমপক্ষে ১ বার ৭০ হাজার বার কালিমা লা-ইলাহা ইল্লাহ এর খতম করা
(৯) রাসুলের শহর মদীনাতে বেশি থেকে বেশি দুরুদ শরীফ পড়া
(১০) মক্কা এবং মদিনায় পুরুষের পক্ষ থেকে বয়ানের ব্যাবস্থা করা এবং পর্দার সাথে পুরুষ মহিলা সবাই শরীক থাকা
(১১) উমরা/হজ্জ কবুলে জন্য আলামত স্বরূপ (১) সালাম (২) অন্যকে খানা খাওয়ানো (৩) নম্র ভাষা ব্যাবহার করা উচিত
(১২) সফরে সকলে মুয়াল্লিম/আমীর কে মেনে চলা
(১৩) অভিযোগ/গীবত ও পরনিন্দা হতে বেঁচে থাকা কারন এই সকল কবিরা গুনাহের সাথে উমরা/হজ্জ আল্লাহর কাছে গ্রহযোগ্যতা পাবে না
(১২) কেনা কাটা কম এবং এমন কিছু কেনা যার মাধ্যমে আখেরাতে লাভবান হওয়া যায় যেমন হাদীয়ার ক্ষেত্রে কুরআন, জায়নামাজ, তসবীহ, আতর, টুপি ইত্যাদি
———————————————-
ইয়া আল্লাহ! সব মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাকির ট্রাভেল এজেন্সি লিমিটেড
নগর সিদ্দিক প্লাজা (২য় তলা), ৩/৭ জনসন রোড, ঢাকা-১১০০, বাংলাদেশ, ফোন: ০১৯৮২-৯৪৫৯০৪
ইবাদত আপনার সেবা আমাদের।
“১৪ দিন উমরা বুকিং চলছে”।
BDT ১,২৫,০০০/- (Affordable)
BDT ১,৪৫,০০০/- (Standard)
BDT ১,৮০,০০০/- (Primmum)
BDT ২,৭০,০০০/- (5 star 5 days)
ইনশাআল্লাহ প্রতি মাসেই ৭, ১৫, ২৫ তারিখে আমাদের তিনটি গ্রুপ উমরাহ যাবে।
—————————-
—————————
প্যাকেজে যা যা থাকছে :
ভিসা।
সম্পূর্ণ ট্রান্সপোর্ট।
রিটার্ন এয়ার টিকিট।
তিন বেলা বাংলা খাবার।
অভিজ্ঞ মুয়াল্লিম গাইড।
স্ট্যান্ডার্ড মানের রুম/হোটেল ( প্রতি রুমে ৪/৫ জন) ।
মক্কা ও মদিনার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ জিয়ারাহ ।
নবীজির বাড়ী , জাবালে সাওর, হেরা গুহা ( ওহী নাজিলের পাহাড়), আরাফার ময়দান , মিনা , মুজদালিফা, যামেরা , জান্নাতুল মোআল্লা , জিন মসজিদ, মসজিদে নামিরা
———————————————-
মদিনা মনোয়ারা জিয়ারার স্পট গুলো :-
জান্নাতুল বাকী, খন্দকের কূপ, খন্দকের ময়দান , উহুদ পাহাড়, মাকবারায়ে শোহাদায়ে উহুদ, মসজিদে কিবলাতাইন, মসজিদে কুবা।, মসজিদে বেলাল, মসজিদে আবু বকর, মসজিদে গমামা, মসজিদে আলি, মসজিদে উসমান
বিঃ দ্রঃ জোহরানা মীকাত, তায়েফ, জেদ্দা সমুদ্র, বদর ও জ্বীন পাহাড় ভ্রমণ নিজ খরচে। তবে আমাদের বল্লে আমরা সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।
বিঃদ্রঃ ভিসা রিজেক্ট ও সৌদি রিয়াল এক্সচেঞ্জ রেট, বিমান ভাড়া, মক্কা-মদিনার হোটেল ভাড়া, বাংলাদেশ ও সৌদি সরকার কর্তৃক কোন খরচ সংযোজন বা কম-বেশি হলে প্যাকেজের রেট পরিবর্তন হতে পারে৷
———————————————-
তাই আর দেরী না করে এখুনি আপনার বুকিং নিশ্চিত করতে কল করুন অথবা সরাসরি ভিজিট করুনঃ
জাকির ট্রাভেল এজেন্সি লিমিটেড
নগর সিদ্দিক প্লাজা (২য় তলা), ৩/৭ জনসন রোড, ঢাকা-১১০০, বাংলাদেশ, ফোন: ০১৯৮২-৯৪৫৯০৪, ইমেইল: zakirvisa00@gmail.com, ওয়েবসাইট: zakirvisa.blogspot.com, ইউটিউব: https://www.youtube.com/channel/UCxFVUX-W5tl-NRHvlTYlWbg, ফেসবুক: https://www.facebook.com/Zakirtravel